- আধা ছটাক তেল !:-
কানাই বাবু নিতান্তই গরীব মানুষ। তবে সে গরীব বলে উদার নয়। ভীষন কিপ্টে। একদিন সে অনেক সখ করে বাজার থেকে আধা ছটাক সরিষার তেল কিনে মহা আনন্দে বাড়ি যাচ্ছে, মুখে আবার মুচকি মুচকি হাসি।বাড়িতে গিয়ে ঐ তেল দিয়ে মুড়ি মেখে খেল, সকালে আবার আলু ভর্তা মেখে খেল, দুপুরে গায়ে মেখে স্নান করল, রাতে নাকে তেল দিয়ে যতটুকু বেঁচেছিল ততটুকু রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। রাতে সেই তেল আবার চোর চুরি করে নিয়ে গেল। কিন্তু শিশিটা রেখে গেল।সকালে উঠে কানাই বাবু যখন দেখতে পেল যে শিশিতে তেল নাই তখন সে কান্না কাটি করে পাড়া মাথায় তুলল। পাড়া প্রতিবেশিরা এসে যখন তার কান্নার কারণ জানতে চাইল তখন সে বলল, “ক-ত সক কইরে বাজার তোন আদি ছুটাক তেল কিনে আন্নু। ঐডা দিয়্যা মুই আর মোর বউ মুড়ি মেইকে খেইয়েছি, আলু ভর্তা মেইখেছি, চিনান কইরেছি, আতের বেলা মুই ইট্টু নাকেও দিছিল্যাম। বাঁকি টুক রাখ্যা দিল্যাম যে আজক্যা আবার ইট্টু আলু ভর্তা খামু। আর শালার চোর মোর আদি ছুটাক তেল ক-প ক-প কইরে (!!) ঢাইলে নিয়ে গেল, এ্যাঁ! এ্যাঁ!! এ্যাঁ!!!” - টয়লেট ক্লিনার:-
প্রথম হাইস্কুলের আভিজ্ঙতা একটু অন্যরকম। প্রথম ক্লাস করতে গিয়েই শুনলাম জব্বার স্যারের কথা। যাকে কিনা ইস্কুলের প্রতিটি শিক্ষকসহ ছত্ররাও জমের মত ভয় করে। জব্বার স্যার দেখতেও ভয়ংকর। সব সময় গম্বীরভাবে কথা বলেন। নাকের নিচের পুরু গোঁপটা জল্লাদের মতো। শরীরের ওজনটাও 2 মনের নিচে নয়। জব্বার স্যারেরে পড়া যদি কেউ না পারে তাহলে তার জ্বর নিয়ে 6-7 দিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। জব্বার স্যার সপ্তম ও দশম শ্রেনির আংক ক্লাস নিতেন। তার কারণেই মনে হয় এই দুই ক্লসের কেউ আংকে ফেল করেনি। এমনকি জব্বার স্যারের চাকরি থাকা আবস্থায় আমাদের স্কুল থেকে কেউ এসএসসি পরীক্ষাতেও ফেল করেনি।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি। আমরা অনেক কষ্ট ও যুদ্ধ করে বাংলা ভাষা অর্জন করেছি। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই।
Sunday, March 22, 2009
Fun: মজা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment