বাম থেকে একেবারে ডানে মোড় নেয়া মতির আলুতে দেখলাম বলিউডি উঠতি নায়িকা ঢাকায় এসেছে কোন এক হীরার দোকান উদ্বোধন করতে।
প্রায় অজানা অচেনা অখ্যাত ভিনদেশি একটা নায়িকার এদেশে আসা, দোকান উদ্বোধন করা, আর সেটা খবরের বিষয়ও হয়? আমরাও সেই খবর হুমড়ি খেয়ে পড়ি?
অবশ্য এ নতুন কি? আমাদের মাননীয় স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রি নিজেই যেখানে মাটিতে বসে হলে বলিউডি রমনীদের খ্যামটা নাচ উপভোগ করতে পারেন, সেখানে এ আর এমন কি?
এই মহিলা তো শুনি, লংকান ছবিতে পর্ণগ্রাফিক কামকলা প্রদর্শন করে "বিখ্যাত" হয়েছে। আগে যেখানে ভাত পেতো না, এখন সে রীতিমত পোলাও কোরমা খাচ্ছে। উদাম হবার কত দাম দেখুন।
প্রথম প্রথম দুবাই এর মতই ক্ষ্যাপে ঢাকায় আসতো ইন্ডিয়ান নায়িকারা। এর পর দেখা গেলো রথ দেখা আর কলা বেচার মত খ্যাপ আর দোকান উদ্বোধনের রেওয়াজ শুরু হলো।
আগে দেখতাম দোকান উদ্বোধন করতেন সমাজের বিশিস্টজনেরা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানও পালিত হতো।
এখন আমাদের এতই উন্নতি(!) হয়েছে যে, আমরা পতিতাদের দিয়ে উদ্বোধন করাচ্ছি।
প্রাচীনকালে নাকি পতিতার সমাজের গুরুত্বপুর্ণ কাজে সরাসরি অংশ নিতো। কর্পোরেট নারীস্বাধীনতার খপ্পড়ে পরে বস্রের সাথে সাথে সম্ভ্রমটুকু লোপ পাওয়া নারীদের দেখছি সেই ভুমিকায় অবতীর্ণ।
অর্থাৎ এগিয়ে যাবার নামে আমাদের প্রাচীন কালে ফিরিয়ে নেয়ার চেস্টা চলছে।
আর সেটা নির্বিঘ্ন করতেই, টাকা দিয়ে বুদ্ধিজীবি, লেখক, সাংবাদিক, সম্পাদক, মানবাধিকার নেতা/নেত্রিকে কিনে ফেলা হয়েছে। যারা দিনমান নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে বস্রহীন করে পতিতাবৃত্তির জন্য আহবান করে যাচ্ছে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের নারীদের (সাথে অভিবাবকরাও) সেই পথে অবলীলায় ধাবিত হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে আমরা মা নয়, নস্টা মেয়ের গর্ভজাত অনেক সন্তানের দেখা পাবো। যাদের দিয়ে সমাজে নস্টামিই চলতে পারে, কোন শুভ কাজ নয়।
পাওলি নগ্ন হয়েছে কারণ তার দরকার অর্থ যশ খ্যাতি। তার একমাত্র যোগ্যতা সে কাজে লাগিয়েছে।
কিন্ত তার নগ্নতাকে পুজি করা খ্যাতি(!) কে কোন লাভের আশায় আমরা পুজি করছি?
উত্তর শুনে রাখুন। সেই লাভটা হলো আমাদের মানসিক নগ্নতা।
আমরা এতটাই দৈন্য এবং নগ্ন যে, শ্রেফ পর্দায় ল্যাংটা হওয়া মহিলার হাতে উদ্বোধন করা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি একবার হলেও দেখতে যাবো। আর দোকানের মালিক কর্মচারিরা সে সুযোগে ব্যাবসা করবে।
আশ্চর্য আমাদের মানসিকতা। আমাদের হাজার বছর ধরে লালিত ঐতিহ্যকে আমরা কি দারুন অবহেলায় পায়ে ঠেলে দিয়ে অসভ্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছি।
No comments:
Post a Comment